• ঢাকা শনিবার
    ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

অবশেষে সেই বৃদ্ধের লাশ দাফন

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

অবশেষে সেই বৃদ্ধের লাশ দাফন

দেশজুড়ে ডেস্ক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় মৃত বাবার মরদেহ দাফনে নিজ সন্তানদের বাধা দেয়ার খবরে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে ২৮ ঘণ্টা পর বৃদ্ধের লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দাফন-কাজ শেষ হয়।

তবে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আত্মীয়স্বজনদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁচুরিয়ার অম্বলপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন মোল্লা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় মারা যান তিনি। কিন্তু বুধবার (৭ জুলাই) বেলা ১টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে থাকে তার মরদেহ। কারণ, এ সময় জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মৃতের পাঁচ সন্তান। তারা হলেন- বাবলু মোল্লা, ফুলবড়ু, রাবেয়া, মমতাজ ও রহমান মোল্লা। 

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নং সদস্য আবদুস সালাম জানান, জমিজমা নিয়ে চার ভাইয়ের সঙ্গে রহমান মোল্লার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এর মধ্যে তাদের বাবা মারা গেলেন। কিন্তু বিরোধের জের থাকায় উঠানে বাবার লাশ রেখে জমি ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। এরপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম ও গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ এলে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হয়।

তবে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ইয়াছিন মোল্লার মরদেহ নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যার দিকে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। পরে দাফন করা হয়।

চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাদের ভুল বুঝতে পারে। বৃদ্ধের পাঁচ সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা একত্র হয়ে বৃদ্ধকে দাফন করেছেন।’

এ ব্যাপারে বৃদ্ধার ছেলেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

টিআর/এম. জামান
আর্কাইভ