প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
সব ধরনের দুর্নীতি ও অপকর্মসহ নিয়োগ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে সবাইকে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল নির্বাচনি এলাকার জনগণের ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার সরকারি সফরে নান্দাইল উপজেলায় যান পরিকল্পনামন্ত্রী। বিকাল ৩টায় চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন তাকে গণসংবর্ধনা দেয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
এর আগে উপজেলা সদর ডাকবাংলোতে পরিকল্পনা মন্ত্রীকে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অব অনার শেষে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনিক হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
পরে তিনি গণসংবর্ধনায় যোগদান করেন। সেখানে মন্ত্রীর প্রতি সম্মান স্বরূপ মানপত্র পাঠ করেন আচারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পর নান্দাইলের কৃতীসন্তান হিসেবে প্রথম মন্ত্রিত্ব লাভ করায় উৎসবমুখর পরিবেশে উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের উপস্থিতি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিমুল্লাহ লিটনের সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী নান্দাইলবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নান্দাইলবাসীর খেদমতে কাজ করার লক্ষ্যে নান্দাইলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ খাত, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবিলম্বে জোরদার করা হবে। এছাড়া সাংগঠনিক নিয়মতান্ত্রিকভাবে দলীয় সংগঠনের সব কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলীয় প্রার্থীদের সমান গুরুত্ব দিয়ে জনগণকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, আওয়ামী লীগ নেত্রী ওয়াহিদা হোসেন রূপা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম মঞ্জু, চন্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া, গাংগাইল ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান নয়ন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ফকির, জালাল উদ্দিন মাস্টার, সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় একটি পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।