প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার গয়েশপুর বাজারে বিএনপি নেতা হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে রুবেল মিয়া। এর আগে এই রুবেলই বিএনপি নেতার ভাই যুবদল নেতা কামরুল মেম্বারকে কুপিয়েছিল। পুলিশ ও বিএনপি নেতা হারুনের পরিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
নিহত হারুন অর রশিদ গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধরণ সম্পাদক এবং বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক। গয়েশপুর বাজারে ‘ফিরোজা হোমিও হল’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। গয়েশপুর বাজারের সনি সিনেমা হল রোডে নিজস্ব তিনতলা বাড়িতে তিনি বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালে রুবেল গয়েশপুর বাজারে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেন নিহত হারুন অর রশিদের ছোট ভাই তৎকালীন পাইথল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামরুল মেম্বারকে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন নিহত বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ।
হারুনের স্ত্রীও জানান, তার দেবর কামরুল মেম্বারকে কুপিয়েছিল রুবেল। কামরুল ওই যাত্রায় বেঁচে গেলেও খুনির হাত থেকে বাঁচতে পারেননি তার স্বামী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হারুন তার ফিরোজা হোমিও হলের সামনে কামালের স্টলে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে হারুনের ওপর হামলা চালান। আত্মরক্ষার্থে হারুন তার বাসার দিকে দৌড় দেন। সনি সিনেমা হলের সামনে গিয়ে তিনি পড়ে যান। সেখানেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে, গলা কেটে হারুনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সদর্পে গয়েশপুর বাজারে তার বাসায় চলে যান রুবেল।
নিহত হারুন অর রশিদের স্ত্রী পাইথল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম বলেন, রুবেল প্রায় সময় আমার স্বামীকে হুমকি দিত-তোর ভাই তো বেঁচে গিয়েছিল; কিন্তু তোকে জানে মেরে ফেলব। হারুনের ছেলে দীপ্ত চিৎকার করতে করতে বলে, আমার বাবার খুনি রুবেলের ফাঁসি চাই।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।