প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
মাদারীপুরের কালকিনিতে ব্যালট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিয়ে বাকশো ভরার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৬৮ নম্বর দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কামরুল হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রে ঝামেলা দেখে আমরা দ্রুত কেন্দ্রে আসি। পরিস্থিত শান্ত আছে। এই কেন্দ্রে আপতত ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউএনও আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোয়া ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ। এ সময় গোলাপের সঙ্গে ২০-২৫ কর্মী-সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে আসার পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। পরে ব্যালট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিতে যায় নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী। তিনি ব্যালট পেপারে সিল দেয়া শুরু করেন। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ করে দেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। বিষয় অস্বীকার করে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী বলেন,
নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেয়া হয়নি। আমি কিছুই করিনি। ঈগলের এজেন্ট কোথায় তা বলতে পারবো না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে গোলাপ। প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখার অনুরোধ করছি।’
প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা বলেন, এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬১৯ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। এমপি সাহেব (আবদুস সোবহান গোলাপ) কেন্দ্রে আসার পরই ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এছাড়া নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী কোনো এক এমপির ফোন আসার পর ঝামেলা সৃষ্টি হলো। পরে দুলালকে বাধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভোট বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন। এছাড়া পুলিশের এক এসআই-এর গায়েও তিনি হাত তোলেন। এরপর উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রটি আমরা সাময়িক বন্ধ করে দেই। ইউএনওকে খবর দিয়েছি। তিনি আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, অনিয়মের অভিযোগে রমজানপুরের ভোটকেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাজেদ/