প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনিব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
এই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা রুবিনা পারভীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনের সচিবের কাছে পাঠানো আলাদা দুটি প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এনামুল হককে প্রাণনাশের হুমকিসহ প্রতিনিয়ত পোস্টার ছেঁড়া, প্রচার মাইক ও অফিস ভাঙচুরসহ একের পর এক হামলা করে যাচ্ছেন। নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন গ্রামপুলিশদের নিয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে প্রচার করেন এবং এনামুল হকের পোস্টার, ব্যানার ও অফিস ভাঙচুর করেন। কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের হুমকিও প্রদান করছেন।
এনামুলের পক্ষে এই অভিযোগ দায়েরের পর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে তার সত্যতা পেয়েছে। তাই নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম ও আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আরেক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন সময় কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হককে প্রাণনাশের হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করেছেন।
এসব অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আবুল কালাম আজাদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করেন। ব্যাখ্যায় বেশিরভাগ অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন তিনি। তবে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন কালাম। তখন তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
অনুসন্ধান কমিটির তদন্তে ধরা পড়েছে, কালামের উস্কানিমূলক বক্তব্য যা সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে। তার এ ধরণের হুমকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই আসনের তিনবারের এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ।