প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
মুজিব’স ক্যাম্পেইনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আইকনিক, ডেস্টিনেশন, সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসী ও দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরে ধরার জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ’বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা- ২০২৩’ উৎসব।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এ সময় তিনি বলেন, এ দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই পথেই মানুষকে সকল সমস্যা সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুয়াকাটা সৈকতে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র প্রমুখ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় আরও বলেন, কুয়াকাটা আসতে অনেক ঝাক্কি ঝামেলা পোহাতে হত। সেখানে আজ ৫ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসা যায়। এটা বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টা। আমূল পরিবর্তন হয়েছে এই দক্ষিণাঞ্চলের। এখন কুয়াকাটাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে হবে। পর্যটন খাত অনেক সম্ভাবনার খাত। পর্যটন খাতকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে হবে সকলের প্রচেষ্টায়। প্রথমে আমাদের নিজ দেশ ভ্রমণ করতে হবে। এরপর বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে, যাতে তারা আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে আসে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ প্রমুখ। এর আগে কুয়াকাটা পৌরসভার সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোভাযাত্রা শুরু হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়।
এবারের দুই দিনের বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা উৎসবে থাকছে কুয়াকাটা সৈকতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস, বিচ উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ফুটবল, বিচ ভলিবল, রাখাইন নৃত্য, গান, পুতুল নাচ, স্থানীয় সংস্কৃতি ও নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রীর ফেস্টিভ্যাল স্টল, পর্যটনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারসহ নানা আয়োজন। উৎসবে ৬০টির মত স্টল বানানো হয়েছে। স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেছে খাবার, রাখাইন পিঠাপুলি, ফিস ফ্রাই, পান্তা ইলিশ, তাঁত বস্ত্র, হাস ও রুটি পিঠসহ নানা ধরনের আয়োজনসহ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন।
জেকেএস/