প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০২:০৫ এএম
পারিবারিক কলহের জের ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মইাজপাড়া গ্রামের সালমা বেগম তার ৩ সন্তান নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন। রোববারের এ ঘটনায় তৎক্ষণাৎ দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এদিকে সোমবার সকালে ভোজেশ্বর বন্দর এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে ছেলে শাহ আবিরের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো সন্ধান মেলেনি মা সালমা বেগমের।
নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে ভোজেশ্বর বন্দরের পাটের দোকানের কর্মচারী আজবাহার মাদবরের স্ত্রী সালমা বেগম (৩০) ও তার তিন শিশুসন্তান ছেলে শাহ আবির (৭) মেয়ে অনিকা (৩) ও ছোলায়মানকে (১) নিয়ে টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর অটোরিকশা থেকে নেমে তিন সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন।
স্থানীয়রা রোববার শিশু আনিকা ও সোলায়মানকে উদ্ধার করেন। আজ সকালে স্থানীয় নিখোঁজ শাহ আবিরের লাশ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে নড়িয়া খানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। গত ২ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি মা সালমা বেগমের লাশ।
স্থানীয় হাবিবুর রহমান মগদম বলেন, আজ সকালে ভোজেশ্বর বন্দর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে নিখোঁজ শিশু শাহ আবিরের লাশ। পরে নড়িয়া থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ১০টায় শিশু শাহ আবিরের লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। তবে এখনো সালমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন