প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩, ০৩:০৯ এএম
রাজশাহীর প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৩ মে শাহমখদুম থানায় দায়ের হওয়া একটি নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর শাহমখদুম থানার বড় বনগ্রামের বাসা থেকে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আরএমপির শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন শনিবার দুপুরে জানান, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় জামায়াতের গোপন সভা হওয়ার খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জামায়াতের সাংগঠনিক তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগান দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যার পর আটক করে মহানগর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত মে মাসের একটি নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, তার বাসা তল্লাশি করে সন্দেহভাজন তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ এটা নিশ্চিত হয়েছেন যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতের একজন বড় অর্থ জোগানদাতা। জামায়াতের নাশকতার উপকরণ সংগ্রহে তিনি অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকী রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। সেই সময় থেকে তিনি রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখেন। এ ছাড়া তিনি নগরীর লক্ষ্মীপুরে মাদারল্যান্ড ফার্টিলিটি সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন