প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০২:০৬ এএম
চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়ে একটি ম্যাক্সিমা গাড়িকে ৮ দিনে তিনবার ট্যু করে ডাম্পিংয়ে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত সার্জেন্ট বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে নগরীর সিটি গেইট থেকে অলংকার হয়ে দেওয়ানহাট যাওয়ার পথে গাড়িটি আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল শাহীন।
ওই গাড়ির চালক ইউসুফের অভিযোগ, গত আট দিনে তিনবার তার গাড়িটি ট্যু করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ২৬ অক্টোবর, ৩০ অক্টোবর ও আজ ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয় গাড়িটি। আমি এর প্রতিবাদ করলে কনস্টেবল শাহীন আমার বুকে ধাক্কা মারে।
তিনি বলেন, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে।
এই সড়কে চলাচলকারী অনেকেই অভিযোগ করেন, গাড়ির সব কাগজপত্র আপডেট থাকলেও অলংকার পুলিশ বক্সের টিআই অমলেন্দুকে মাসিক মাসোহারা না দিলে সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ট্যু হওয়া ম্যাক্সিমা চ.মে.ফ ১১-১৭২৩ এর মালিক নজরুল বলেন, টিআই অমলেন্দুর টেন্ডল লিটন ২৬ অক্টোবর নিয়েছেন চারশ’ টাকা। পরে আরো টাকা না দেওয়ায় গাড়ির কাগজপত্র, চালকের লাইসেন্স, ১০ নং রোড পার্মিট থাকা সত্ত্বেও আমাকে বারবার হয়রানি করছে। আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে টিআই অমলেন্দুর টেন্ডল লিটন বলেন, আমি টিআই অমলেন্দু স্যারের সঙ্গে অফিসে কাজ কারবার করি। টাকা নিয়েছি ট্যু না করার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু সার্জেন্ট কথা রাখেনি। পরে চারশ’ টাকা ফেরত দিতে গিয়ে গাড়ির মালিক নজরুলের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, সিটি গেইট থেকে অলংকার বামে দেওয়ানহাট যাওয়ার পথে ইউটার্ন করার কোনো দরকার পড়ে না।
পরে অবশ্য সার্জেন্ট বিশ্বজিৎ বলেন, ইউটার্ন নয়, চালকের ব্যবহার ভালো ছিল না।
কাগজপত্র আপডেট থাকলে ট্যু করা যায় কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনের ধারার অভাব নেই।
এ বিষয়ে অলংকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের টিআই অমলেন্দুর মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন