প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সামরিক শাসক ও বিএনপি জামাতের শাসনামলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে এখন সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত। সবাই তাদের শ্রদ্ধা করে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাটিরপাড় গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরে দুপুরে উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নবনির্মিত ভবন এবং হাতিরঝিলের আদলে দূর্গাপুর-খরখরিয়া এলাকায় নদনা খালের উপর নির্মিত ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে আরসিসি আর্চ গার্ডার ব্রিজ শুভ উদ্বোধন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই অসাংবিধানিক সরকার সে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি। আমাদের দেশেও সামরিক শাসকরা তাদের নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন যারা প্রতিহতের চেষ্টা করবে দেশপ্রেমিক জনগণ অতীতের মতো তাদেরকে প্রতিহত করবে।
লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের বিবরণ তুলে ধরে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, মনোহরগঞ্জকে এক সময় জলাঞ্চল হিসেবে অবহেলার চোখে দেখা হতো। এখন এখানে ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির ফলে মনোহরগঞ্জ আজ শহরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ শিষ্টাচার বহির্ভূত। বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মো. ইফতেখার, মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম প্রমুখ।