প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৩, ০২:৪৮ এএম
চুয়াডাঙ্গায় এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইমরান-তাসলিমা দম্পতি। চার সন্তানের তিনটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পরই পুত্র সন্তানটি মারা যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের দেখতে গিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া। তিনি তিন কন্যার নাম রাখেন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তাসলিমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ শহরের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে (নরমাল ডেলিভারি) এক পুত্র, তিন কন্যা শিশুসহ চার সন্তানের জন্ম দেন।
একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় যেমন খুশি, তেমনি তাদের লালন-পালন, চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও চিন্তায় পড়েছেনর তাদের ভ্যানচালক বাবা ইমরান হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জের বাসিন্দা হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে বসবাস করেন। তাদের মা তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার সন্তানের জন্ম হলেও ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। তবে তিন কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন চলছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো।
তিনি আরও বলেন, এর আগে যমজ শিশু দেখেছি। একসঙ্গে চার শিশুর জন্মগ্রহণ খুব কম হয়। এর আগেও চার সন্তানের জন্ম দেখেছি, তবে সেটা সিজারিয়ানের মাধ্যমে।
এদিকে, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নবজাতকদের দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া। এসময় তিনি ইমরান-তাসলিমা দম্পতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও আর্থিক সহায়তা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, এক সঙ্গে চার শিশুর জন্মের খবর পেয়ে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে এসেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা নবজাতকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এসময় শিশুদের পরিবারের অনুরোধে তাদের যথাক্রমে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামকরণ করা হয়।
ভ্যান চালক বাবা ইমরান বলেন, ‘আমি পাখিভ্যান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। আমাদের আরও একটি পুত্র সন্তান আছে। আজ চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। তবে আমার তিন কন্যা সন্তান বেচে আছে। কন্যাদের মুখ দেখে আমার বুক ভরে গেছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন