প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৩:১৯ এএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাচাতো বোনের বাড়িতে প্রেমের টানে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন চাচাতো ভাই স্বপন আলী (২৭)। বুধবার সকালে পৌরসভার তেবাড়িয়া গ্রামের আসাদের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
নিহত স্বপন আলী চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার বুয়ালে গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত চয়ন শেখের ছেলে আসাদের সঙ্গে দর্শনার বুয়ালে গ্রামের স্বপনের চাচাতো বোন ও ইনায়ের মেয়ে সুমি খাতুনের (২৫) বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বপন কুমারখালীর তেবাড়িয়া গ্রামে চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। যে কারণে তাকে তেবাড়িয়া গ্রামে আসতে নিষেধ করা হয়। তারপরও এসে ঝামেলা সৃষ্টি করায় ৩-৪ মাস পূর্বে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তুহিন শেখের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাকে আসাদের বাড়িতে না আসার জন্য কড়াকড়িভাবে নিষেধ করা হয়। বুধবার স্বপনের মরদেহ আসাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
মৃত স্বপনের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, তার চাচাতো ভাই ইনায়ের মেয়ে সুমির সঙ্গে স্বপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টা জানার পর সুমিকে কুমারখালীতে বিয়ে দেওয়া হয় এবং তার ছেলে স্বপনকেও অন্যত্র বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্বপন তার বউকে ছেড়ে দিয়ে সুমির সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। মঙ্গলবার সুমি মোবাইল ফোনে স্বপনকে ডেকে নেয়। তার ছেলেকে সুমির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন