প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৩:৪৫ এএম
মাগুরার শ্রীপুরের কচুবড়িয়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে গৃহবধূ ও নেভাতে আসা প্রতিবেশী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন— কচুবড়িয়া গ্রামের সবিরন বেগম (৪০) ও আরশেদ শেখ কানু (৪৫)। এ ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর শেখকে (৪২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শনিবার ১৪ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে দু’টি ঘর পুড়ে গেছে। পড়ে যাওয়া বসতঘরের ভেতর থেকে একজন মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আগুন নেভাতে এসে প্রতিবেশী দু’জন বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার ভোরে আলম শেখের রান্নাঘরে আগুনের সূত্রপাত। এসময় আগুন দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বসতঘরে থাকা আলম শেখের স্ত্রী সবিরন বেগম আগুনে পুড়ে মারা যায়। স্থানীয়রা শ্রীপুর দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বসতঘর থেকে সবিরন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।
আগুন নেভাতে এসে জন্য প্রতিবেশী আরশেদ শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখ দুজনে বিদ্যুতস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আরশেদ শেখের মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীর শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সবিরন বেগমের স্বামী আলম শেখ বলেন, রাতের বেলায় স্ত্রী, ৮ বছরের এক ছেলেসহ আমি ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে চারিদিকে আগুন দেখতে পাই। এ সময় আমি ঘরের বেড়া ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলে ছেলেকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হই। কিন্তু আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় সে ঘর থেকে বের হতে পরেনি। ঘরের মধ্যেই আগুনে পুড়ে সে কয়লার মতো হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, কচুবাড়িয়া এলাকায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাজেদ/