প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩, ০৩:১১ এএম
যশোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা দায়রা জজ আদালতের আমলি আদালতের বিচারক ইমরান আহমেদ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ তিনজনের নামে অভিযোগ দিলে রাতেই দুইজনকে আটক করে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এদিন সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জিরাট গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন জিরাট গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আলামিন (২৪) ও নুর আলীর ছেলে শামিম হোসেন (২৫)। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছেন একই এলাকার সোহেল হোসেন (২৫)। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলায় নথিভুক্ত করেছেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূর পিতার বাড়ি শাখারীগাতি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি নরেন্দ্রপুর গ্রামের বটতলায় যাচ্ছিলেন। রূপদিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসার পর তার স্বামী এসে নিয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে পূর্বপরিচিত সোহেল ওরফে গুটি সোহেল ও আলামিন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখাতে থাকে। একপর্যায় রাজি হলে তারা গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্রপুর বাবু বাজার মাঠের মধ্যে নিয়ে গুটি সোহেল ধর্ষণ করে। সেখান থেকে নিয়ে আলতাফের ইটভাটার মধ্যে আলামিন ধর্ষণ করে। এরপর তাদের সহযোগী শামিম এসে রাতভর তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ভোররাতে গৃহবধূকে তার পিতার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে আলামিন ও গুটি সোহেল।
আরও জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানতে পারেন গৃহবধূর স্বামী। ফলে স্বামী এখন আর তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার পর দুজনকে আটক করা হয়। দুজনকে আটকের পরে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/