• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ০১:৫৭ এএম

এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সিটি নিউজ ডেস্ক

পটুয়াখালী বাউফলে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বগা ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজে এমন ঘটনা ঘটেছে। টাকা জমার রশিদ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা টাকা আদায় করছেন। শুধু ওই কলেজেই নয়, অভিযোগ রয়েছে উপজেলার ১০টি ডিগ্রী কলেজের সবগুলোর বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনো রশিদ ছাড়াই ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫টি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫৫০ টাকা, মানবিক বিভাগের ৩টি বিষয়ের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০-৬০০ টাকা। এছাড়াও কারিগরি শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০০ করে টাকা আদায় করা হয়েছে। পরীক্ষায় নম্বর হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সকলে নিরবে সহ্য করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করা হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে ব্যবহারিকে পরিপূর্ণ নম্বর পেতে হলে ধার্যকৃত টাকা দিতে হবে। যারা দিবে তারাই নম্বর পাবে। যারা দিবে না তারা কম নম্বর পাবে।

শিক্ষার্থী হান্নান জানান, তার কাছে স্যার ৫০০ টাকা দাবি করেন। পরে অনেক অনুরোধ করে ২৫০ টাকা দিয়েছি। মিরাজ নামের অপর এক শিক্ষার্থী জানান, তার কাছ থেকে ৩ বিষয়ের পরীক্ষার জন্য ৪০০ টাকা নিয়েছেন।

কারিগরি শাখার লাবনী নামের শিক্ষার্থী বলেন, বিএমএ শাখার প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, টাকা নেওয়ার কোন বিধান নাই। কিন্তু আগে থেকে তারা নিয়ে আসছেন তাই এ বছরও সামান্য কিছু নিচ্ছেন।

নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যাক্ষ মো. আবদুল মালেক বলেন, এ সকল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫০টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ টাকা পরিক্ষার এক্সট্রানাল টিমসহ যাবতীয় খরচ বহন করতে ব্যায় করতে হয়। পরীক্ষর সময় অনেক খরচ থাকে।

তবে ভিন্ন মত দিয়েছেন কাছিপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো সহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যবহারিক বিষয়ের শিক্ষক আলাদা। তারা টাকা আদায় করেন। তারা কি কাজে খরচ করেন সেটা তারা জানে না। কলেজ কোনভাবে তাদের দায় নেবে না। আমি ওই টাকার বিষয়ে কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমি শিক্ষাবোর্ড বরিশালের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, ‘ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য একটা ফি নির্ধারণ করা হয়। সেটা ফরম ফিলাপের সাথে নিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ টাকা অদায় করে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ব্যপারে স্থানীয় প্রসাশনের সহায়তা নিতে পারেন।’

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

আর্কাইভ