প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৩, ০৩:১৫ এএম
খুলনায় শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরিফ হোসেনকে এক যুগ পর গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-০৪ সাভার ক্যাম্পের সদস্যরা শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে যৌথ অভিযান চালায়।
এ সময় রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকা থেকে ৬ বছরের শিশুকন্যা অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আরিফ হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলার খালিশপুর থানায় ৬ বছরের শিশুকন্যা রহিমাকে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৮/৩০ ধারায় মামলাটি করেন শিশুর মা হনুফা বেগম (৩৫)। ওই মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে শিশুকন্যাকে অপহরণ মামলায় আদালত আরিফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন; কিন্তু সাজা এড়াতে আরিফ দীর্ঘ এক যুগ পলাতক থাকেন। পলাতক আসামি মো. আরিফ হোসেন মাদারীপুর জেলার মো. শাহজাহান ঘরামীর পুত্র।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানায়, ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সে এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে পরস্পর যোগসাজশে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে সেলিম-হনুফা দম্পতির ৬ বছরের শিশুকন্যাকে খুলনার খালিশপুর এলাকা থেকে অপহরণ করে। ঘটনার পর শিশুর মা হনুফা বেগম খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর জিডি তদন্তের একপর্যায়ে খালিশপুর থানা পুলিশ গত ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরিফসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে অপহরণকৃত শিশু রহিমাকে (৬) উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার খালিশপুর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা রুজু করে। ওই মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ যথানিয়মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
আদালত মামলাটির বিচারকার্য সমাপ্ত করে মো. আরিফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা প্রদান করে। মামলার বিচার শুরুর পূর্বেই তদন্ত চলাকালীন গ্রেফতারকৃত আরিফ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পূর্বে তিনি রাজধানী ঢাকার আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন