প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ইজিবাইকে থাকা আরও চারজন। এ সময় ঘাতক বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এতে মহাসড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের উপজেলার দাশেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— কাশিয়ানি উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের আকমাল শেখের স্ত্রী রানু বেগম (৬০) ও একই ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে হায়াত শেখ (৬৫)।
আহতরা হলেন— একই ইউনিয়নের ইজিবাইকচালক ফুলমিয়া (৪৫), লামিয়া (১৫), জাবেদা (৪৫) ও খুকি বেগম (৪৭) । নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দোলা পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৫৯৯৪) খুলনার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাশেরহাট এলাকার বিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে অন্য একটি বাসকে ওভারটেকিং করতে যায়। এ সময় কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মুকসুদপুরগামী একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই রানু বেগম নিহত হন। এ সময় ঘাতক বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ মিনিটের চেষ্টায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে হতাহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে হায়াত শেখের মৃত্যু হয়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই মো. আবু নোমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মহাসড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেকেএস/