প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৭:০২ পিএম
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুত্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রিজের পাখার সাথে গলায় রশি ও মুখের ভেতর গামছা দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসি। ব্রিজের পাশেই পল্লী চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ধাস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে।
নিহত পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম (৪০) উপজেলার ডম্বরপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে।
স্থানী সুত্রে জানাগেছে, নিহত পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম চিকিৎসার কারণে রাত করেই বাড়িতে যেতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার সময় গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিল। এর সে চায়ের দোকান থেকে উঠে চলে যায়। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোজাখুজি করেও পায়নি। শুক্রবার সকালে ব্রিজের ডম্বলপুর-মাধবপুর ব্রিজের পাখার সাথে তার ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসি। কিছুটা দূরে মোটরসাইকেল ও মাথার টুপি ও পায়ের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে। সেখানে তাকে হত্যার সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে মুখের ভেতর গেঞ্জি ও গলায় রশি বেধে ব্রিজের পাখার সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায় হত্যাকারীরা।
কালিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ খুব সকালে আমাদের গ্রামের এক ভাসতে আমাকে মোবাইল করে বলে তৌহিদুল মারা গেছে। লাশ ব্রিজে ঝুলছে। আমি এটা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ওসি সাবেককে জানায়। পরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিজ্রে তার লাশ দড়ি দিয়ে ঝুলানো। বিজ্রের পাশের তৌহিদুলের মোটরসাইকেল আর মাথার টুপি পড়ে আছে। আমরা তো তৌহিদুল ভালো ছেলে হিসেবেই জানি। যাহোক এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হোক।
এদিকে লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় নামে। অত্র অঞ্চলের কয়েকজন নাম না প্রকাশ করে বলেন, তৌহিদুল ডাক্তারকে আমরা অনেক দিন ধরে চিনি। তিনি অত্যন্ত নিরিবিলি মানুষ। তাকে কেউ এভাবে হত্যা করবে সত্যিই আশ্চর্যজনক ব্যাপার। আমরা লাশ দেখে ধারণা করছি এটা পরিকল্পিত হত্যা হতে পারে। যাহোক প্রকৃত অপরাধী দ্রুত আইনের আওতায় আসুক।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত একরামুল হোসাইন জানান, ব্রিজের পাখার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পল্লী চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। ব্রিজের কিছুটা দূরেই তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও মাথার টুপি পড়ে আছে। সেখানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
জেকেএস/