• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পাঁচদিন পর নিহত বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ০৩:৫৬ এএম

পাঁচদিন পর নিহত বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা-জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মিজানুর রহমানের (৫০) লাশ পাঁচদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল বুধবার বিকেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পতাকা বৈঠকের মধ্যে দিয়ে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 
গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে বাংলাদেশের মিজানুর নামের এক গরু ও মানবপাচারকারী নিহত হয়। নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলার  সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন।

জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, গত ৪দিন আগে মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গীরা মিলে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মিজানুর মারা যায়। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করে এবং সন্ধার পর নিহত মিজানুর রহমানের লাশ তার নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে নেওয়া হয়।

নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,আমার স্বামী তো মারা গেছে। কিন্তু যাদের জন্য মারা গেছে তারা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। আমার স্বামীকে যদি মধুর ছেলে বাদল, কাওসারের ছেলে ফারুক ও আরিফুলের ছেলে জীবন বাড়ি থেকে ডেকে না নিয়ে যেত তা হলে হয়ত আমার স্বামীর মৃত্যু হত না।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, নিহত মিজানুর ও বেনীপুর গ্রামের মধুর ছেলে বাদল, কাওসারের ছেলে ফারুক ও আরিফুলের ছেলে জীবনসহ জীবননগর শহরের একজন পরিবহন চালক মিলে একটি মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। যারা কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা যাওয়া মাছের গাড়িতে করে রোহিঙ্গা নিয়ে আসে। এ সব রোহিঙ্গাদের সাতক্ষীরা, বেনাপোল, মহেশপুর ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাথাপিছু ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচার করে থাকে।
এদিকে লাশ হস্তান্তর কালে উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এডি মোঃ সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপির  কমান্ডার মোঃ আতিয়ার রহমান, জীবননগর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জীবননগর থানার এস আই রায়হান উদ্দিন, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন, ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামসহ নিহতর পরিবারের সদস্যরা।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, নিহত মিজানুর রহমানের লাশ বুধবার বিকালে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মধ্যে দিয়ে নিহতর পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ