প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ০২:৫৪ এএম
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত তিন তিনবারের এমপি হাজী মোঃ আলী আজগার টগর। দীর্ঘ সময় এমপি থাকার সুবাদে তার নির্বাচনী এলাকায় হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। জনগণের সাথে মিশে কাজ করা, নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা, মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে উন্নয়ন করাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
জীবননগর ও দামুড়হুদা - এই দুই উপজেলা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলায় রয়েছে বিএনপি জামায়াতের আধিপত্য। এই আসনটি দীর্ঘদিন জামায়াত বিএনপির দখলে ছিল। সেখানে গত তিনবার বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে হাজী আলী আজগার টগর জয়লাভ করেন। এখানে এবারও বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীদের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর যেভাবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এবং বিপরীতে শক্ত কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ভোটাররা জানান, টগর ভাইয়ের বিষয়টা তাদের কাছে দলমতের বাইরে। এলাকার যে কোনো বিষয়ে তারা টগর ভাইয়ের কাছে বিনা বাধায় গিয়ে কথা বলতে পারেন। এমনকি তিনি এলাকার বাইরে থাকলেও ফোন করে সহজে তাকে পাওয়া যায়। এসব কারণে ভোটের সময় টগর ভাইয়ের বিকল্প আমরা কেউ চিন্তা করিনা।
আলী আজগার টগর এ আসনে নির্বাচনের পর থেকে কোনদিন বসে থাকেননি। নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে গেছেন প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ। তুলে ধরেছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা।
ভ্যান চালক আব্দুল করিম বলেন, এমপি টগরের কোন বিকল্প নেই। তিনি একজন উদার মনের মানুষ। তার কাছে গেলে কোন গরীব মানুষ ফেরত যায় না। সবাইকে তিনি খুশি করে দেন। ঈদের সময় তিনি নিজে মানুষের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং শাড়ী, লুঙ্গি, সেমাই চিনি দিয়ে আসেন। দোয়া করি এবারও তিনি আমাদের মাঝে এমপি হয়ে আসবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, জাতীয় নির্বাচন আসলেই বিভিন্ন নেতাকর্মিদের আনাগোনা লক্ষ করা যায়। গেছো নেতাদের গাছে গাছে ব্যানার ফেস্টুন ভরে যায় আর নির্বাচন শেষ হলে আর কাউকে দেখা যায় না । আবার অনেক পাতি নেতা আছে কিছু টাকার মালিক হলেই স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ ব্যাবহার করে এমপি পদে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে নিজের জাহির করেন। কিন্তু আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য ১৫বছর ক্ষমতায় আছেন, তিনি সব সময় এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন, এলাকার ব্যবসায়ী, সুধী, ভ্যান চালকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের খোঁজখবর রাখেন। এমনকি তিনি এ আসনের সকল মানুষের নাম মুখস্থ এটাই আমাদের পাওয়া।
হাজী আলী আজগার টগর এমপি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন ,আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত এবং তার কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়া আমরা কাজ।
আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠনটাকে শক্তিশালী করার জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। নেত্রী আমাকে এই আসনটিতে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি নেত্রীর দেওয়া সেই দায়িত্ব পালন করে আসছি, আগামীতেও করে যাবো। এ আসনটি এক সময় বিএনপি, জামায়াতের দখলে ছিল সে সময় রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদের অবস্থা ছিল নাজুক। নেত্রী যখন আমাকে এ আসনে মনোনয়ন দিলেন তখন এ এলাকার মানুষের দাবি ছিল অন্য কিছু দরকার নাই শুধু রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজগুলো উন্নয়ন করেন। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় এ আসনের এমন কোন স্থান নেই যেখানে মাটির রাস্তা আছে। সব রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতালের উন্নয়ন করা হয়েছে।গ্রামগুলো সব শহরে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা পূরণ করেন। আজ বাংলোদেশ মধ্যে আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
এমএম/