প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ০৬:১১ পিএম
ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। পদ্মা ও মেঘনায় যেন চলছে ইলিশের আকাল। তবে সেই আকালকে ছাপিয়ে বাড়ছে জেলেদের ঋণের কিস্তি আর ধারদেনা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনায় নৌকায় জাল নিয়ে নদীতে ছুটছেন জেলেরা। জাল ফেললেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফিরে আসছেন হতাশ হয়ে।
চাঁদপুরের উত্তরের ষাটনল থেকে দক্ষিণের চরভৈরবী পর্যন্ত এই একই চিত্র।
এতে জেলেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ঋণের কিস্তি আর ধারদেনার বোঝা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মহাজনের দেনার চাপ হচ্ছে দ্বিগুণ।
মনির হোসেন নামে এক জেলে বলেন, ‘ইলিশ বিক্রি করে ধার পরিশোধ করার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা পূরণ হবে না। ইলিশ নাই বললেই চলে নদীতে। জীবন-জীবিকা নিয়ে সংকটে আছি বড় ধরনের।’
এদিকে পাইকারি বাজারে অজস্র ইলিশের দেখা মিললেও তা কেবলই সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার। নদীতে জেলেদের জালে নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
নদীতে ইলিশের দেখা না পাওয়ার কারণ হিসেবে মৎস্যবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পদ্মা ও মেঘনায় দূষণ, চর ও ডুবোচর বাধার মুখে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ইলিশের ঝাঁক আসতে না পারা।
ইলিশ গবেষক ও মৎস্যবিজ্ঞানী ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘দক্ষিণে সাগরের সঙ্গে মিলিত নদীর মোহনায় শত শত জাল একসঙ্গে পড়ছে। এতে সেই জাল ভেদ করে মেঘনা ও পদ্মা পর্যন্ত ইলিশের ঝাঁক ছুটে আসা বেশ দুঃসাধ্য। তা ছাড়া এই দুই নদীতে চর আর ডুবোচরও ইলিশ বিচরণে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে নদীর পানি দূষণ তো রয়েছেই।’
ভারি বৃষ্টিপাত এবং নদীতে স্রোত বইতে শুরু করলে ইলিশের বিচরণ স্বাভাবিক হয়ে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে বলেও জানান তিনি।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/