• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাকায় অজ্ঞান পার্টির নতুন ফাঁদ ‘রড ব্যবসা’

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম

ঢাকায় অজ্ঞান পার্টির নতুন ফাঁদ ‘রড ব্যবসা’

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হারবাল ওষুধ বিক্রির আড়ালে নতুন নামে রাজধানী ঢাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছে অজ্ঞান পার্টি। হকার সেজে বাসে উঠে ওষুধ বিক্রির নামে যাত্রীদের চেতনানাশক খাইয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে সর্বস্ব। তাদের এ কার্যক্রমের সাংকেতিক নাম ‌‘রড ব্যবসা’।

এমন একটি চক্রের খপ্পরে পড়ে সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছেন আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ আর শফিকুল ইসলাম (৫৭)। এ ঘটনায় মোজাম্মেল ও মানিক নামে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গ্রেফতারের আগে মানিকের লম্বা দাড়ি ছিল; চুলও ছিল বড়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই কামিয়ে ফেলেন দাড়ি, ছোট করে ফেলেন চুল। মানিক ও মোজাম্মেল দুজনই অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য। এ পার্টির সদস্যরা বাসে উঠার পর সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে, যা কেবল তারাই বুঝতে পারে। মানুষকে অচেতন করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার এ কাজকে তারা নাম দিয়েছে ‘রড ব্যবসা’।

হারুন অর রশিদ জানান, বাসে করে আসছিলেন শফিকুল ইসলাম। বাসটি যখন মহাখালী বাস টার্মিনালে পৌঁছায়, তখন সব যাত্রী নেমে গেলেও পেছনের সিটে থাকা দুজন নামেননি। বাসের হেল্পার ও ড্রাইভার দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে দেখেন দুজনের অবস্থাই গুরুতর। তখন তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে শফিকুল মারা যান। অপরজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি জানান, বাসে অপরিচিত কেউ কোনো খাবার বা পানি দিলে তা খাওয়া যাবে না। দূরপাল্লার এ গাড়িগুলো থাকে গেইট লক। এ ধরনের গাড়িগুলোর গেইট যেন না খোলে, সেদিকে যাত্রীদের খেয়াল রাখতে হবে। বড় বড় বাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর কথা। যদিও অনেক গাড়িতে তা লাগানো হয়নি। শুধু গাড়িতে নয়, যেকোনো জায়গায়ই অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু খাওয়া ঠিক না।

গত ৭ আগস্ট জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসটি টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় আসলে শফিকুল ও আরিফুল বাসটিতে উঠেন। আজমপুর আসার পর বাসটিতে হকার পরিচয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা যাত্রীদের মধ্যে হারবাল ওষুধ বিতরণ করেন। সেই ওষুধ খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়েন শফিকুল ও আরিফুল। অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগের ফলে মারা যান শফিকুল।

এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রীদের পাশাপাশি বাসের ড্রাইভার ও হেল্পারদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ