প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩, ০৪:২০ এএম
চুয়াডাঙ্গা -জীবননগরে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ঘাস মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন মলিনা খাতুন (১৯) নামে এক যুবতী। বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৪ দিন আগে মলিনা খাতুন নিজ পরিবারের লোকজনের উপর অভিমান করে একই ইউনিয়নের কচ্চাডাঙ্গা গ্রামে বোন জামাইয়ের বাড়িতে ঘাস মারা ওষুধ পান করে। সে উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের ভ্যান চালক সেলিম হোসেনের মেয়ে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেহাটি বাজার পাড়ার মৃত বাচ্চুর ছেলে রিদয়ের সাথে মলিনার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে রিদয়ের পরিবারের লোকজন মলিনার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে মেয়ের মা তাকে মারধর করলে ৪দিন আগে দুপুরে মলিনা খাতুন তার বোন জামাইয়ের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে ঘাস মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, রিদয় এ এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক সেবনকারী এবং উথলী ব্যাংক ডাকাতের মূল হোতা ছিল। তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে সে এসব বিষয় ধামাচাপা দিয়ে থাকে। নিহত মলিনার বিষয়টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্ঠা চলছে বলে জানা গেছে।
মেয়েকে হারিয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন মলিনার বাবা। এদিকে মলিনার মৃত্যুর সংবাদ শুনে গা ঢাকা দিয়েছে লম্পট রিদয়। এ বিষয়ে রিদয়ের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিকের কথা শুনে গেট বন্ধ করে দেয়।
মলিনার আত্মহত্যার বিষয়ে কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ইউপি সদস্য মজিবার রহমান বলেন, আমি জানতে পেরেছি ৪দিন আগে ওই মেয়ে ঘাস মারা ওষুধ পান করেছিলো। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবিদ হাসানের বলেন, দেহাটি গ্রামে একটি মেয়ে ঘাস মারা ওষুধ খেয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।