• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে ফটো গ্যালারি

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩, ০৩:০২ এএম

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে ফটো গ্যালারি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

এক ছাদের নিচে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও সোনার বাংলার ছবি। সেগুলো ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বলছে। উন্নত বাংলাদেশের উন্নয়নকে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে রয়েছে ফটো গ্যালারি, বুক কর্নার এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান। পর্যায়ক্রমে প্রক্যেকটি ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই গ্যালারি।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে ফটো গ্যালারি এবং লাইব্রেরী গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ তৈরির কার্যক্রম ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রয়ারী শুরু হয়ে শেষ হয় একই বছরের ২৩ জুন। আয়তন ১২শ বর্গফুট। দেওয়ালে রঙ, র‌্যাক, ওয়াল র‌্যাক, লাইটিংসহ নতুন ডিজাইনে সাজানো হয়েছে ঘরটি। সাজানো গোছানো পরিপাটি পরিবেশ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ । এখানে রয়েছে ৮টি কংক্রিটের দেওয়াল, একটি বুক কর্নার, তিনটি স্ট্রিং ওয়াল, তিনটি বোর্ডের ওয়াল, দুটি স্মৃতি স্মারক কর্নার। প্রথম দেওয়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বহির্বিশ্ব, ২য় দেওয়ালে ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বীকৃতি।৩য় দেওয়ালে ১৯৪৭-১৯৭০ সালের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী, শিক্ষা জীবন এবং ঘটনা প্রবাহ। ৪র্থ দেওয়ালে রক্তাক্ত ৭১। ৫ম দেওয়ালে ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত অতঃপর থমকে যাওয়া উন্নয়ন। ৬ষ্ঠ দেওয়ালে মুক্তিযুদ্ধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদান। ৭ম দেওয়ালে চুয়াডাঙ্গার মহান মুক্তি সংগ্রাম। 

৮ম দেওয়ালে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে আলোকবর্তিকায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা। তিনটি স্ট্রিং ওয়ালে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের ছবি ও কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি। তিনটি বোর্ডের ওয়ালে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ সংক্ষিপ্ত জীবনী, রাষ্ট্রীয় স্মারক। স্থাপনার বিবরণ, বুক কর্নার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর উপর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ। স্মারক কর্নারে রাইফেল, গ্রেনেড এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে একাত্তরের ২৫মার্চের বেতার বার্তা প্রেরণের যন্ত্র রয়েছে। প্রত্যেকটি স্থানে শোভা পাচ্ছে বাঁধানো ছবিগুলো।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাকিব হাসনাত বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সুপার মহোদয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে যে ফটো গ্যালারি এবং লাইব্রেরী গড়ে তুলেছেন এটা আসলেই একটা মহতি উদ্যোগ ।আমরা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতাম না কিন্তু চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে গিয়ে আমরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম এটা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ । চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে একত্রিত করতে পেরে নিজের কাছে অনেকভালো লাগছে। তা ছাড়া প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে আসছেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারছেন । তবে এটা এখনও উদ্বোধন করা হয়নি, উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছি।  

আর্কাইভ