প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম
বিদ্যালয়ের ছাদে পাঁচ ছাত্রীর ধূমপান করছিল। এই দৃশ্য ফোনে ভিডিও করেন দুই শিক্ষক। ছাত্রীদের ডেকে মারধর করার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান তারা। সেই ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে জিনিয়া খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলছাত্রী একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে ও সুলতানপুর মাহতাবুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত ছাত্রীর মামা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পাঁচজন ছাত্রী বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্কুলের ছাদে ধূমপান করছিল। সেখানে আমার ভাগ্নি জিনিয়াও ছিল।
সিগারেট খাওয়া দৃশ্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাল্টু ও ওয়ালিউর রহমান ভিডিও করেন। পরে ছাত্রীদের ডেকে মারধর করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়াসহ অভিভাবকদের জানানোর ভয় দেখান। বিদ্যালয় ছুটির পর আমার ভাগ্নি বাড়িতে এসে নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভুল করতেই পারে, তাই বলে কি শিক্ষকরা এভাবে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাবেন? আমি দুই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান ও লাল্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আমি বিদ্যালয়ের বাইরে ছিলাম। একজনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, থানার দুইজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তারা প্রাথমিক তদন্ত করেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/