প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম
রাজধানীর শাহাজানপুরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নান্নু খান পলাশকে (৪৭) গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সাত বছর পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-২ এর একটি দল। পরে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাত বছর ধরে পলাতক এ আসামি ঢাকার মতিঝিলের খলিলুর রহমানের ছেলে।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, ২০১৬ সালের জুনে পলাশ একটি গার্মেন্টসের ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী নারী ওই গার্মেন্টসে কর্মী হিসেবে যোগদান করেন।
চারদিন কাজ করার পর পঞ্চম দিন কাজ করতে গেলে গার্মেন্টসের এজিএম ভুক্তভোগী নারীকে ১৮ বছরের কম বয়সী কর্মী হিসেবে অবহিত করেন। সেসময় তাকে কাজে নেওয়া যাবে না বলে জানান।
পরের দিন ভুক্তভোগী আবার সেই গার্মেন্টসে কাজের জন্য গেলে গার্মেন্টসের ফ্লোর ইনচার্জ পলাশ তাকে অন্য গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। একই দিন বিকেলে অন্য গার্মেন্টসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাতে থাকেন। পরে রাতে শাহাজানপুর থানাধীন একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একটি রুম ভাড়া নেন।
পলাশ রাতে হোটেল রুমে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে পলাশ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে পলাশের বিরুদ্ধে শাহাজানপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর আসামি পলাশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। চার মাস জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পলাতক হন। অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামি পলাশের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। অনাদায়ে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামি পলাশ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ গতরাতে তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এএসপি শিহাব করিম।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/