প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০৬:২০ পিএম
আবাসিক হোটেল রুমে অর্ধনগ্ন অবস্থায় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। নিচ্ছেন ইয়াবা সেবনের প্রস্তুতি। পাশে তার দুই নারী। তাদের নিয়ে করেছেন আনন্দ ফুর্তি। অবশেষে তা আর রইলো না গোপন। ফাঁস হলো সেই ভিডিও। এরপর পর একে একে বেরিয়ে এলো সেই সভাপতির যত কুকীর্তি।
নাম তার মিজানুর রহমান বাবু। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার অনুমোদিত একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি। বছরখানেক আগে সহযোগীদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন কক্সবাজার। ছিলেন সেখানকার এক আবাসিক হোটেলে। হোটেল রুমে প্রতি রাতেই করতেন মাদকসেবন ও অনৈতিক কার্যকলাপ। তার সেখানে কাটানো এক রাতের অল্প সময়ের ভিডিও হয়েছে ফাঁস।
বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। তিনি একজন মাদকসেবী হিসেবে উপজেলায় চিহ্নিত। তার সঙ্গে রয়েছেন আরো তিন থেকে চারজন সহযোগী। তাদের নিয়েই বগুড়ায় প্রতিরাতেই মদপান করেন তিনি- রয়েছে এমন অভিযোগও।
বাবুর ঘনিষ্ঠ একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাবু কক্সবাজার গিয়ে তিন-চারদিন ছিলেন। সেখানে প্রতিরাতেই নারী নিয়ে ইয়াবা সেবন ও মদপান করতেন। গোপনে একজন ওই ভিডিও করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর বলেন, বাবু একজন নেশাগ্রস্ত যুবক। নিয়মিত মাদকসেবন করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে অহরহ। চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেন বাবু।
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকবার অনৈতিক কার্যকলাপের সময় তাকে আটক করা হয়। এরপরেও নিজেকে সংশোধন করেননি তিনি। মাঝে মধ্যেই মেয়েদের নিয়ে ইয়াবা সেবন করেন বাবু। এছাড়া নেশাগ্রস্ত কয়েকজন সহযোগীও আছে তার।
অভিযুক্ত বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হোসেন বলেন, একই নামে শাজাহানপুরে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির নারী নিয়ে ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে, তার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পায়নি। ঐ প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে।
জেকেএস/