প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০২:২৩ এএম
ছদ্মবেশে পুলিশ চুয়াডাঙ্গায় তিন আন্ত:জেলা প্রতারককে আটক করেছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নাম করে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। নতুন করে ঘড়ির ব্যবসার কথা বলে চক্রটি ব্যবসায়ী আলি হোসেনের কাছে কয়েক লাখ টাকা চায়। চক্রটি জানায় তারা তাদের শেয়ারের ৪ কোটি টাকা কাপড় নেওয়ার ট্রলি ব্যাগে করে নিয়ে এসেছে। আপনার টাকা পেলেই আমরা নতুন ব্যবসার টাকা পরিশোধ করতে পারবো। চক্রটির দেওয়া ঠিকানায় ব্যবসায়ী টাকা দিতে আসলে প্রতারক দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে পুলিশ তাদের আটক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার থানা কাউন্সিল পাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আটককৃতরা হল- শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার খড়িসার গ্রামের মৃত শান্তি মিয়ার ছেলে উজ্জল চৌধুরি (৫৪), কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকার সি বøকের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে হাসানুজ্জামান (৪৬) ও গোপালগঞ্জ জেলার মোখছেদপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলির ছেলে মাহাবুব আলম (৪৩)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান বলেন, মেহেরপুর জেলার পোস্টঅফিস পাড়ার বাবর আলির ছেলে আলি হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় প্রতারক চক্রটির সাথে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুই মাস আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাকাউন্সিল পাড়ায় কালাম নামের এক ব্যাক্তির বাড়ি ভাড়া নেয়।
উজ্জল চৌধুরি, হাসানুজ্জামান ও মাহাবুব আলম হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের নাম দিয়ে চুয়াডাঙ্গাসহ পাশ্ববর্তী জেলায় প্রতারণার জাল বিস্তার করেন। চক্রটি প্রথমে আলি হোসেনের কাছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে মেশিন সরবরাহের জন্য প্রলোভন দেখান। কাজ পেতে হলে ৩৩ লাখ টাকা দিতে হবে চক্রটি আলি হোসেনকে জানায়। চক্রটির অফিসে গিয়ে ব্যবসায়ী এরই মধ্যে ৮ লাখ নগদ টাকা তুলে দেয়। বাকি টাকা চাইলে আলি হোসেন দিতে সময় নেয়। এর মধ্য চক্রটি ঘড়ির ব্যবসা কথা বলে অংশীদার হতে বলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আলি হোসেন বাকি টাকা নিয়ে প্রতারক চক্রটির অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। যাওয়ার আগে তিনি বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানায়। ব্যাবসায়ী টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ছদ্মবেশে পিছু নেয়। পুলিশ প্রথমে একজনকে আটক করে তাকে সাথে নিয়ে অফিসে গেলে আরও দুই জনকে আটক করে।
পুলিশ অফিস তল্লাশি করে কাগজপত্র, ফাইল ও একটি ট্রলি ব্যাগ জব্দ করে। প্রতারক চক্রটি ট্রলি ব্যাগে করে চার কোটি টাকা নিয়ে আসার কথা জানায় ব্যবসায়ীকে। পুলিশ ট্রলি ব্যাগ থেকে ৫ লিটারের দুটি পানির বোতল উদ্ধার করে।