প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৫:৩৬ পিএম
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মো. আহসান হাবিব খান। তার সঙ্গে রয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে কমিশনাররা এ পর্যবেক্ষণ করছেন। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই পর্যবেক্ষণে আসেন তারা।
নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল সিসি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণ বন্ধ করাসহ নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম ধরা পড়েনি।
ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। প্রার্থী দেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ।
এদিকে, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের পাশাপাশি দেশের স্থানীয় সরকারের ৭৮টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন। এর মধ্যে তিন প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় ভোটরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। তাদের তিনজনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছে ভোটাররা।
উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া আটজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অন্যরা হলেন— জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো.রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।
অন্যদিকে, সারাদেশে ৭৮টি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ নির্বাচন বা সব পদে নির্বাচন হবে ৩৯টিতে। এর মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে সাতটি পৌরসভায়। পৌরসভাগুলোর সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, নির্বাচনি এলাকাগুলোতে শনিবার সকালে প্রচার বন্ধ এবং মধ্যরাতে মোটরসাইকেল চালাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। রবিবার রাত ১২টার পর থেকে সাধারণভাবে ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজি বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় নির্বাচনি এলাকায়। তবে, নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জরুরি সেবার কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে শিথিল থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
জেকেএস/