প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৩, ০৪:২১ পিএম
সিলগালা করা গুলশান সুপার মার্কেট ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর খুলে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের চিঠির ভিত্তিতে দুই বছর আগে এই মার্কেট বন্ধে দফায় দফায় সময় চেয়েও কথা রাখেনি মার্কেট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এ যেনো শাঁখের করাত। বঙ্গবাজার-নিউমার্কেটর মতো ভবনগুলোতে যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন অভিযোগের তীর যায় নগর কর্তৃপক্ষের দিকে। আবার ঝুকিপূর্ণ ভবন বন্ধ করতে গেলেও ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়তে হয় সিটি করপোরেশনকে।
ঝুঁকিপূর্ণ গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার ওই এলাকাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করলে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকালে সব ব্যবসায়ীকে দোকান থেকে বের করে দিলে তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
তারপরও মার্কেটটি সিলগালা করা হলে উল্টো ব্যবসায়ীরা অভিযোগের তীর উঠায় সিটি করপোরেশনের দিকে। এ সময় ভবন রক্ষায় আইনি লড়াই চালিয়েও হেরে যাওয়ার কথা জানান গুলশান শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইব্রাহীম শেখ খোকন।
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আইনজীবী বলেন, ‘এ মার্কেটে ৭৩০টি দোকান আছে, প্রায় ২০ হাজার পরিবার এর উপর নির্ভরশীল। এদেরকে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করা যাবে না।’
তবে উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান ভিন্ন কথা। গুলশান-১ নম্বরের এই মার্কেটটি রাজউকের অনুমোদিত নয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও ভবনে মৃত্যু ঝুঁকি থাকলে তা তড়িৎ গতিতে বন্ধ করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিস এই ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। দফায় দফায় নোটিশের বিপরীতে সময় চাইলেও কথা রাখেনি মার্কেট কর্তৃপক্ষ। তাই এবার আর মানুষের জান-মালের ঝুঁকি নেবে না নগর কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে তিনি সিটি করপোরেশনের ৫টি মার্কেটের ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলারও ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে এই মার্কেট ব্যক্তিমালিকানা হওয়ায় তা মালিকপক্ষকেই ভাঙতে হবে বলে জানান উত্তরের মেয়র।
জেকেএস/