দেশজুড়ে ডেস্ক
সাহেরা খাতুনের (৭০) মেয়ে শিরিন বেগম (২২)। প্রতিবেশী গাজী দফাদারের ছেলে জিয়াউর রহমানের কাছে শিরিনকে বিয়ে দেন তার বাবা-মা। এ দম্পতির ঘরে তিন মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয়।
সচ্ছলতার আশায় ছয় বছর আগে শিরিনের স্বামী জিয়াউর রহমান ইরাকে চলে যান। এরপর থেকেই শিরিনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন তার দেবররা। সামান্য বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তেন তারা।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে শিরিনের সঙ্গে দেবর কালু, আক্কাস, সাদ্দাম ও ইমান আলী বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে মারধরও করেন।
মেয়েকে মারধর করছে এমন খবরে ছুটে আসেন সাহেরা খাতুন। ছোট মেয়ে মুনিয়াকে নিয়ে তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়া মাত্রই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শিরিনের চার দেবর। মাটিতে ফেলে লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন শিরিনের দেবররা।
মাকে বাঁচাতে তার সঙ্গে থাকা মেয়ে মুনিয়া এগিয়ে গেলে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে মা ও বোনকে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন শিরিন। ওই মারধরে সাহেরা খাতুনের কোমরের দুটি হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়ার। শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সাহেরা খাতুন ওই এলাকার ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী। বৃদ্ধা সাহেরা খাতুন ছাড়াও মারধরে আহত হয়েছেন তার মেয়ে মুনিয়া বেগম (২২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হক রণি বলেন, 'ওই বৃদ্ধার কোমরের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। এর মধ্যে একটি হাড় আলাদা হয়ে গেছে, অপরটি হালকা লেগে আছে। তাকে প্রাথমিক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তবে অপারেশন ছাড়া এর চিকিৎসা সম্ভব নয়।'
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, 'বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
মামুন/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন