প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
অন্যান্য বছর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হলেও এবারই প্রথম সেই সময়টা অর্ধেকে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ছিল ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক)। সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু সেটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন। নাগরিকদের কাছে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রেখে চ্যালেঞ্জে সফলও হয়েছেন মেয়র।
বৃহস্পতিবার (২৯) দিবাগত রাত ২টার মধ্যেই ১২ ঘণ্টায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে মসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ফলে শুক্রবার সকালেই ঝকঝকে নগরী পেয়েছেন বাসিন্দারা।
মসিক সূত্র জানায়, কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজে ছোট-বড় ৪৭টি গাড়ি, দুইটি লোডার, একটি এক্সকাভেটর, ৬টি জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর গাড়ির মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ৪৬৫টি পশু কোরবানি পয়েন্টে কাজ করেছেন ৬০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়। পরে রাত ২টার আগেই নগরীর ৬টি পশুর হাট ছাড়াও কোরবানির নির্ধারিত স্থানগুলো থেকে প্রায় ১৪০ টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয় মসিক।
এ ব্যাপারে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিরলস এবং নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সেজন্য মসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সার্বিক সহায়তার জন্য বাসিন্দাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। নাগরিকদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরে এবং ময়মনসিংহের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে নগরীকে পরিচ্ছন্ন করতে পেরে ঈদের আনন্দ আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আগামী দিনেও ময়মনসিংহ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসী ও সিটি কর্পোরেশনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিএস/