প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম
ভোর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো বা মুষলধারে ঝরছে বৃষ্টির ধারা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এটিকে অতি বৃষ্টি বলা হচ্ছে। বেলা সোয়া ১২টায় এ প্রতিবেদন
ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হবে - এমন খবর আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল। ফলে সবার মধ্যে পূর্ব প্রস্তুতিও ছিল। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি বড় চিন্তা ছিল পশু কোরবানি নিয়ে। তবুও বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের ছয় বিভাগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায় অতি বৃষ্টি হচ্ছে। এটি সারা দিন থাকার পাশাপাশি সারা দেশে ৪ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে যে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল, সেটি বহাল থাকবে।
এদিকে, আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময়ে হওয়া এ ঈদে ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে কমবেশি সবাইকে। গত দুদিন ধরেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। আর আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের বৃষ্টিতে ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের কেউ ছাতা নিয়ে, কেউ ভিজে ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদে এসেছেন। একই রকম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পশু কোরবানি দিতেও। বৃষ্টির কারণে খোলা জায়গায় কোরবানি দিতে না পারায় অনেকেই বাসার গ্যারেজে অথবা সামনের ফুটপাতে পশু কোরবানি করছেন।
ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমেছে। কোথাও কোথাও কাদার পরিমাণ বেড়েছে। যদিও ঢাকার দুই সিটির মেয়র বলেছেন, রাজধানীতে দুই দিন ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, সে তুলনায় সড়কে পানি কম জমেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি জমলেও তা দ্রুত সরে যাচ্ছে।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা এখন পুরোই ফাঁকা বলতে হবে। আর বৃষ্টি হওয়ায় মানুষও তেমন বাইরে বের হননি। মানুষের মধ্যে এখন পশু কোরবানির ব্যস্ততা। সড়কেও নেই গাড়ির চাপ।
এডিএস/