প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে সুনামগঞ্জে পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা) আসন। পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদে সমৃদ্ধ এই আসন।
আয়তন ও ভোটের দিক থেকে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় আসন এটি। তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা নিয়ে গঠিত হলেও সম্প্রতি ধর্মপাশা উপজেলাকে ভেঙে মধ্যনগর নামে আরেকটি নতুন উপজেলা ঘোষণা করায় আসনটি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। এখন চারটি উপজেলার আসন হওয়ায় সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশীও এই আসনে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ-বিএনপির হয়ে ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন এই আসনে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার নিয়েই টানাটানি বেশি। নৌকার মাঝি হতে চান সাতজন প্রার্থী। আর বিএনপি নির্বাচনে আসলে ধানের শীষ নিয়ে লড়াই করবেন বিএনপির তিন প্রভাবশালী প্রার্থী।
এই আসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হচ্ছে তাহিরপুর উপজেলা। শুধু সুনামগঞ্জ-১ আসনেই নয় পুরো জেলার গুরুত্ব বহন করে তাহিরপুর। পর্যটন সমৃদ্ধ ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হওয়ায় এই আসনের প্রতি সবার নজর। জেলার সবচেয়ে বেশি হাওরের অবস্থান এই উপজেলায়। মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য টাঙ্গুয়ার হাওরও তাহিরপুরে। তাই সাবেক, বর্তমান, নতুনসহ ১০ জন প্রার্থী এই আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার আলোচনায় আছেন।
স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় সবার আগে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নাম। আওয়ামী লীগ থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য তিনি। তবে ক্ষমতায় থাকায় এই এমপিকে নিয়ে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই যেন বেশি। ক্যাসিনো কাণ্ড, বিদেশে অর্থপাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেওয়া আছে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞাও। সম্প্রতি সরকারি টাকায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরালের ডিজাইন পরিবর্তন করে নিজের ছবি দেওয়ায় দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে অপসারণ করা হয় এমপির ছবি। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ, অন্যের জায়গা জোরপূর্বক দখল, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে খুব একটা দেখা না গেলেও ইদানিং জেলার রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। জেলা আওয়ামী লীগের যে কোনো ছোটবড় প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন তিনি। জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও ঠিক রাখতে পারেননি নিজ উপজেলার আওয়ামী লীগকে। দলে আছে বিভক্তি। উপজেলা কমিটির সভাপতি এমপি নিজে হলেও দলের অনেক নেতাকর্মী তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। প্রকাশ্যেই দিচ্ছেন এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য।
এমপির নিজ এলাকা ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ মুরাদ বলেন, এমপি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব লোকদের কমিটিতে স্থান দিতে গিয়ে বিভক্ত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগকে। এমপি হওয়ার আগে তিনি কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। জাতীয় এক নেতার কারণে হঠাৎ এসে আওয়ামী লীগের কার্ড পেয়ে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যে আশায় মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল সেই আশা পূরণ না করে ১৫ বছর ধরে নিজের সম্পদ গড়ায় ব্যস্ত এমপি। যে কয়টা সড়ক ও সেতু করেছেন অনিয়মের কারণে সেগুলো তার আমলেই ভেঙে বেহাল অবস্থা। আছে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ। নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করে নৌকাকে ডুবিয়েছেন। নিজের ভাইকে বানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। নিজের ভাই চাচা-ভাতিজাকে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের পদ-পদবি। বানাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। পরিবারতন্ত্র কায়েমের কারণে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগ ধ্বংসের মুখে।
একই কথা বলেন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন্দলের প্রধান কারণ এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ৬৭ সদস্যের উপজেলা কমিটির ৪২ জন স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের কাছে এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন তারা। পুরো আসনের ৪টি উপজেলায় রতন ও এন্ট্রি রতন নামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ কাজ করছে।
দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস বলেন, দীর্ঘদিন একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের ভেতরে কিছু সমস্যা তৈরি হবেই। দলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বলের কারণ এমপি নয়, জেলার নেতারা। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় এই বিভক্তি হয়েছে। সম্মেলন হয়ে গেলে সব বিভক্তি মিটে যাবে। ভোটের মাঠে আমাদের এমপির কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বিএনপি ছাড়া। বিএনপি নির্বাচনে আসলেও আমরা জয়ী হবো। আওয়ামী লীগ নিজেকে নিজে না হারালে কেউ হারাতে পারবে না।
এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, আমার এলাকায় হাওরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়েছে, নদী খনন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণ করেছি, ৩২৮টি প্রাইমারি স্কুল করেছি। এসব তো আছেই, তার পাশাপাশি হাওরে শতভাগ বিদ্যুৎ গিয়েছে, সেতু হয়েছে । এখন ফ্লাইওভার হবে। রেললাইনের স্বপ্ন দেখছি, রেললাইন আসবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি নিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব জায়গায় আওয়ামী লীগের ৪৪টি অফিস নির্মাণ করে দিয়েছি। এমন নজির অন্য কোথাও নেই। তারপরও প্রতিযোগিতা থাকবে এবং আছে এটা ভালো।
বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এলে এসব অভিযোগ মানুষ করেই। আমার বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে অভিযোগ করেই যাচ্ছে। পত্রিকা আর ফেসবুক দেখে মানুষ রাজনীতি করে না। মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও ভালোবাসা আছে বলেই তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। আমি এখন মনোনয়ন না, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অন্যদিকে ভোটের দৌড়ে এরপরই চলে আসে সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি শামীমা আক্তার খানমের নাম। কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানববিষয়ক সম্পাদক তিনি। এই রাজনীতিবিদ প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন হাওরপাড়ের মানুষের কাছে। সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন বলে ভালোবাসে হাওরের মানুষ। ভালোবাসা পান প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও। সিলেট বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো সফর বা কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই জায়গা পান তিনি।
শামীমা আক্তার খানম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ার আমার হাওর এলাকায়ও বইছে। যারা অন্ধ তারা সেই উন্নয়ন কোনোদিন দেখবে না। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হচ্ছে হাওরে সড়ক তৈরি না করে উড়াল সেতু তৈরি করবেন। আমার ধর্মপাশা, মধ্যনগর দিয়েও উড়াল সেতুর কাজ খুব দ্রুতই শুরু হয়ে যাবে। এমন উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই কাজ করবো। তবে আমি হাওরে হাওরে ঘুরি। হাওরের সুখ-দুঃখ বুঝি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি মানুষের জন্যে। আমাকে মনোনয়ন দিলে হাওরে আমূল পরিবর্তন আনবো।
এই দুই এমপির পরেই জনপ্রিয়তার দিক থেকে যার নাম সবার আগে তিনি সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদ। মানবিক নেতা হিসেবে যিনি সবার কাছে পরিচিত। করোনা ও গত বছরে বন্যার সময় যিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যে কোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক কাজের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সবার আগে এগিয়ে আসেন সেলিম আহমেদ। সামাজিক কাজে অবদান রাখায় সম্মানিত হয়েছেন জেলার বিভিন্ন সংগঠন থেকে। তিনিও স্বপ্ন দেখছেন জনগণের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার।
সেলিম আহমেদ বলেন, মানুষের জন্য কাজ করা, সেবা করার শিক্ষা আমি পারিবারিকভাবে পেয়ে বড় হয়েছি। আল্লাহ আমাকে সেই তৌফিক দিয়েছেন বিদায় করতে পারছি। আমি হাওরপাড়ের সন্তান, ছোটবেলা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে বড় হয়েছি। হাওরের প্রত্যেকটি ছোট থেকে বড় সমস্যা সম্ভাবনার সঙ্গে আমি পরিচিত। এখানের যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, পর্যটন শিল্প আছে সেটা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক একটি অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। কিন্তু আমাদের হাওরবাসীর দুঃখের বিষয় যে একজন যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাওরপাড়ের মানুষ অবহেলিত আছেন। আমি হাওরের সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করি। আমার সবার দুঃখ কষ্টের কথা জানা। তাই আমি নির্বাচিত হলে পুরো জেলার মধ্যে একটা মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলবো। আমার জীবন চলার মতো যথেষ্ট আছে, নির্বাচিত হলে নেওয়ার কিছু নেই। সব মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাবো। আমাকে মনোনয়ন না দিলেও অদক্ষ, অসৎ, দুর্নীতিবাজ মানুষ ছাড়া যোগ্য যাকে নেত্রী মনোনয়ন দেবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো।
বর্তমান এমপি সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক একটি অস্থিরতার কারণে আওয়ামী পরিবারের না হয়েও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। এমপি হওয়ার আগে তিনি কোনোদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। যার কারণে উনার দক্ষতা ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।
এদিকে এই তিনজন ছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার। তিনিও তাহিরপুর উপজেলার সন্তান। সিলেটের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও নিজ এলাকায় শক্ত অবস্থান আছে। সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চালাচ্ছেন প্রচারণা।
তিনি বলেন, আমি সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। নিজে নিজের কথা বলতে চাই না। সুনামগঞ্জ-১ আসনের মানুষই আমার কথা বলবে। সারাদেশে পরিবর্তনের জোয়ার বইছে। আশা করি এই আসনেও প্রার্থী পরিবর্তন হবে। বর্তমান সংসদ সদস্যকে দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের আশা পূরণ হচ্ছে না। তার কুকীর্তির কথা সারাদেশের মানুষ জানে।
মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সক্রিয় একজন রাজনীতিবিদ। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে যাচ্ছি। তাই না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এরপরও যদি প্রধানমন্ত্রী অন্য কাউকে দেন আমি তার পক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েই থাকবো।
এদিকে এর আগে তিন বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা করুণা সিন্ধু বাবুল। তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনো আমাদের আসনের চার উপজেলা সড়ক পথে কানেক্টেড হতে পারেনি। এটাই বর্তমান দায়িত্বশীলদের চরম ব্যর্থতার একটা দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সুনামগঞ্জ-১ আসনকে সংযুক্ত করাই আমার লক্ষ্য। আমার এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। একজন আদর্শিক-সৎ রাজনৈতিক চায়। যাতে তারা তাদের যে স্বপ্ন সেটা পূরণ করতে পারেন। আমি জনগণের ভোটে পরিক্ষিত তাই আমি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য মনে করছি।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটারদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাবেক আমলা সরকারের যুগ্ম সচিব বিনয় ভূষন তালুকদার ও ডা. রফিকুল ইসলাম নামে আরেক প্রার্থী। আওয়ামী লীগের এসব প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও আছেন ভোটারদের চিন্তায়। বিএনপি নির্বাচনে এলে বদলে যাবে পুরো নির্বাচনের রূপ। সুনামগঞ্জ-১ আসনের বিভিন্ন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে যানা যায়, মানুষ এখন একটু পরিবর্তন চায়। তাই আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে বিএনপি ছিনিয়ে নিতে পারে আসনটি।
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যান আনিসুল হক ও কামরুজ্জামান কামরুল।
তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন নির্বাচন নয়। আমাদের লক্ষ্য এই সরকারের পদত্যাগ। সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দিলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। যে দলের এমপি একটানা ১৫ বছর থেকে একটা আসনের দুইটা-চারটা ব্রিজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি সে দলকে মানুষ ভোট দেবে না। ছোট ছোট দু-একটা গ্রামীণ সড়ক যেগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলো সরকারের অবদান নয় বিদেশি এনজিও সংস্থা করে দিয়েছে। মিথ্যা মধ্যম আয়ের দেশের গল্প শুনিয়ে সেই এনজিও সংস্থাগুলোকেও বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির অন্য দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হজে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিএস/