• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে আশুগঞ্জে নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০১:৩৯ এএম

স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে আশুগঞ্জে নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বন্দরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেন।

এ ব্যাপারে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, ‘আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান করবে। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। আগামীকাল আমাদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনার পর পরবর্তী করণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তাদের ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা কাজে ফিরেছেন এবং ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।’

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা আন্দোলনরত কার্গোজাহাজ শ্রমিকদের বলেছি আপনারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে আন্দোলন থেকে সরে আসেন। আমরা আপনাদের দাবির বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। শ্রমিকরা আমাদের কথা রেখেছেন। কাজে যোগ দিয়েছেন।’

এর আগে শনিবার (১০ জুন) বিকেলে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গোজাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতারা আসেন। এ সময় তীরে নোঙরে থাকা ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদেরকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন মালিক পক্ষের লোকজন। শ্রমিকদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ধর্মঘট পালনের করে আসছিলেন শ্রমিকরা।

বন্দরের ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী আশুগঞ্জ নদীবন্দরে নৌপথে আসা সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর ও কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি কার্গোজাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলায় নেয়া হয়।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ