• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুমিল্লায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩, ১২:৪৪ এএম

কুমিল্লায় পরীক্ষাকেন্দ্রে  ১৮ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর একদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে একই স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থী। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।

বুধবার (৭ জুন) সকালে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।

সহপাঠীরা কোলে করে অসুস্থ বন্ধুদের নিয়ে আসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। অনেকে ভেঙে পড়ছে কান্নায়। সহপাঠীদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠীরা সিটি নিউজ ঢাকাকে জানায়, বুধবার তাদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে একে একে সবাই অসুস্থ হতে শুরু করে। বন্ধুদের এমন অবস্থা দেখে খুব ভয় পেয়ে যায় সহপাঠীরা।

এর আগে মঙ্গলবার অতিরিক্ত গরমে হাবিবা নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী মারা যায়। এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সহপাঠীরা জানায়, প্রচন্ড গরম তার মধ্যে লোডশেডিং; গরমের কারণে এমন হচ্ছে সবার।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান সিটি নিউজ ঢাকাকে জানান, সকাল থেকেই শিক্ষার্থী যারা আসছে তাদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তাদের অনেকের বমি, শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এইটা অতি গরমের কারণে হতে পারে। আবার এমনও হতে একদিন আগে তাদের এক সহপাঠীর মৃত্যুর কারণে ভয়ে এমন হয়েছে।

দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনাটি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানালে আমি তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। প্রচণ্ড গরমে স্কুল বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পাওয়ায় পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।’

গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম বলেন, ‘আজ পরিক্ষা শুরুর পরই দুইজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষার্থীরা আসতে থাকে। এই বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে  উনিও হাসপাতালে আসেন।’

গৌরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তীব্র গরমের কারণে এমনটা হয়েছে। হাসপাতালে আসা শিক্ষার্থীরা এখন সুস্থ আছে। স্কুল বন্ধের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ