• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে বাধা দেয়ায় স্থানীয়দের মারধরে ছয় শিক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে বাধা দেয়ায় স্থানীয়দের মারধরে ছয় শিক্ষার্থী আহত

ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ডেস্ক

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে বাধা দেয়ায় স্থানীয়দের মারধরে ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে শরীয়তপুর ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত  শিক্ষার্থী কবির হোসেনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা সবাই  শৌলপাড়া মনোয়ার খান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে ওই বিদ্যালয়ে জানালা দিয়ে কয়েকজনকে নকল দিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে তারা বাধা দিলে হুমকি দেন স্থানীয়রা। প্রতিদিনের মতো রোববারও জানালা দিয়ে নকল দিতে গেলে তারা প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নকল সরবরাহকারীরা হলের বাইরে থেকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরে পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই নকল সরবরাহকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে লাঠি-সোটাসহ হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে।

শৌলপাড়া মনোয়ার খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব ভালোভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। স্থানীয় কিছু অসাধু চক্র জানালা দিয়ে নকল সরবরাহ করতে গেলে বাধা দেয় আমাদের ছেলেরা। আর সে কারণেই তাদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেছে। নিরাপদে ফিরে আসার পরেও অটোরিকশা থেকে নামিয়েও আমাদের ছেলেদেরকে মারধর করা হয়। আগামীতে আরও পরীক্ষা রয়েছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমাদের ছেলেরা ভয় পাচ্ছে। আবারও হামলা হতে পারে শঙ্কা তাদের। এর একটা উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার ট্যাগ অফিসার (ইউএনও প্রতিনিধি) অলক রায় বলেন, পরীক্ষার হলের বাইরে বিদ্যালয়ের মাঠে মারামারির একটা ঘটনা আমি শুনেছি। তবে বিষয়টি এখনো আমি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারিনি। যদি এমন ঘটনা হয় তবে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১০০ শয্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, পাঁচ থেকে ছয় শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিল। এর মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। পরবর্তীতে তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারব। তবে তার মাথার আঘাতে পাঁচটি সেলাই প্রয়োজন হয়েছে।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে একজনকে আটক করেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা এ ঘটনায় মীমাংসার কথা বলেছে। যদি সেটা করতে তারা ব্যর্থ হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ