প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ১২:৩৩ এএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাদকসেবনের ভিডিও ভাইরাল করায় কুমিল্লা আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে খুন করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রধান আসামি আমান ও সাইদ গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানান।
রোববার (২১ মে) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
এর আগে শনিবার সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার লৌহগং এলাকা থেকে ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইসগিয়ার (ছুরি) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় মাদ্রাসার কমিটি, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী ও মসজিদ কমিটির পদ নিয়ে এনামুলের সঙ্গে আসামি জহির, আমানউল্লাহদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসামি জহিরের মাদকসেবনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও এনামুল বিভিন্নজনকে দেখালে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও প্রবল হয়।
এর জেরে জহির, আমানউল্লাহ ও সাঈদ আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ মে রাতে আমানউল্লাহ একটি সুইসগিয়ার সংগ্রহ করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের পর সাঈদ ও আমানউল্লাহ এলাকা ছেড়ে খাগড়াছড়ি পালিয়ে যান।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানার লৌহগং এলাকা থেকে সাঈদ ও আমানউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচগিয়ারটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দত্তসার দিঘির পাশে চট্টগ্রামমুখী লেইন থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান আছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে কুমিল্লা সদর উপজেলার ২ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জহির, আমানউল্লাহ ও সাঈদ যোগসাজশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পরদিন এনামুলের বাবা আব্দুল ওদুদ বাদী হয়ে এজাহারে ১০ জনের নামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেকেএস/