• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে

সরানো হচ্ছে মোংলা চ্যানেল থেকে জাহাজসহ সব নৌযান

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম

সরানো হচ্ছে মোংলা চ্যানেল থেকে জাহাজসহ সব নৌযান

ছবি: সংগৃহীত

মোংলা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মোংলা বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত বার্জ, কার্গো ও লাইটার জাহাজসহ সকল নৌযানকে চ্যানেল থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। দুটি জাহাজ বন্দরে প্রবেশের সিডিউল বাতিল করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালের মধ্যে চ্যানেল খালি রাখার জন্য এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বন্দরের হারবার বিভাগ।


এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা ও পৌর কর্তৃপক্ষসহ সকল প্রশাসন।

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তাই গ্যাসবাহী ওশান লাইনস ও ইকো গ্যালাক্সি নামের দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ শনিবার (১৩ মে) মোংলা বন্দরে প্রবেশের সিডিউল ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরের প্রবেশ না করে বন্দরের বহির্নোঙরে হিরণ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এছাড়া, পণ্য খালাস শেষে শনিবার বিকাল ৩টায় মার্কেন্টাইল-৪৪, জাহান ব্রাদার্স, ইন্দিগো ওমেগা ও ক্যায়সা ওয়ান নামে চারটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করবে। তবে পণ্য খালাসকৃত বাণিজ্যিক এ জাহাজ বন্দর ত্যাগ করার কোন প্রতিবন্ধকতা নেই বলেও জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে এখানকার সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষায় উপজেলা পরিষদ ছাড়াও পৌর কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক শেষে সকল সরকারি-আধা-সরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ৩২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করে রেখেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপি’র এক হাজার ৩২০ জন সেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তারা শুক্রবার রাত ও সকালে নদীর পাড়ের ট্রলার মাঝি, নৌযান চালক ও স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতনতা মূলক মাইকিংও করে মানুষদের সচেতন করছে।

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মোংলা বন্দরের প্রধান জেটি ও বহির্নোঙর হারবাড়িয়ায় ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য অবস্থান করছে। এ সকল অবস্থানরত মাদার ভ্যাসেল (বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ) থেকে পণ্য ওঠা-নামা কিছুটা অব্যাহত থাকলেও বন্দরের নিজস্ব বয়ায় শক্ত অবস্থায় নোঙর করে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। তবে বন্দরের জেটি এলাকায় পণ্য খালাস-বোঝাই চলছে যথা নিয়মে। তবে বন্দরের পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত বার্জ, কার্গো ও লাইটারসহ সকল নৌযানকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের জান-মালের রক্ষায় নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শনিবার নতুন করে মোংলা বন্দরে দুটি গ্যাসবাহী জাহাজ প্রবেশ করার সিডিউল ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রভাব না কাটা পর্যন্ত বন্দরে প্রবেশ না করে বহির্নোঙরের হিরণ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর পণ্য খালাস করে আরও চারটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করবে। এছাড়া, বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সকল প্রকারের বার্জ, কার্গো ও লাইটার জাহাজসহ সকল প্রকারের নৌযান সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ