প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ১২:২৮ এএম
-(11)-20230512122812.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কক্সবাজার দৃশ্যমান হওয়া শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিসের সবশেষ তথ্যমতে, এখনও ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত হলেও শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা রয়েছে। এরপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তবে কোনো প্রকার বাতাসের পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানিয়েছেন, মোখার প্রভাবে হাল্কা এ বৃষ্টিপাত। তা থেমে থেমে আবারও হতে পারে।
এদিকে, মোখার কারণে সাগর স্বাভাবিক পরিস্থিতির চেয়ে একটু উত্তাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন, সৈকতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর।
তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটু পানির নিচে নামতে দেয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশনা মতে ৪ নম্বর সংকেত হলে সৈকতের পানিতে নামা বন্ধ করা হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘প্রশাসন মানুষজনের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে। দুর্যোগকালীন জন্য ২৫ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। অবস্থার বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। এরইমধ্যে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
জেকেএস/
-(7)-20230512075107.jpg)
