প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম
গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মেহেদীর শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
আজ শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা চলাকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও মেহেদীর মামা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেহেদীর মামা আলমাস হোসেন বলেন, ‘আগুনে পুড়ে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে মেহেদী। রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে।’
এর আগে ১ মে সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার ধুপখোলা বাজারের রাস্তার পাশের গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় শাওনসহ ৮ জন দগ্ধ হন। মেহেদী হাসান শাওনের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। ঈদের ছুটি শেষে শনিবার ঢাকায় ফেরেন তিনি। সোমবার পার্শ্ববর্তী ধুপখোলায় বাজার করতে গেলে এ ঘটনার শিকার হন।
মেহেদীর মেস সঙ্গী ও বন্ধু হাসান আলী জানান, ঘটনার দিন সকালে মেসে কে প্রথম বাজার করবে তা নিয়ে কথা উঠলে শাওনই প্রথম বাজার করার জন্য রাজি হয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে সে ধুপখোলা মাঠের পাশে বাজারের জন্য যায়। এর কিছুক্ষণ পরে মেসের নিচে থাকা সেলুন দোকানি হাসানকে খবর দেন মেহেদি দগ্ধ হয়েছে। এরপর তাড়াহুড়া করে হাসপাতালে আনা হয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর হেরে গেছে মেহেদি।
আহাজারি করে মেহেদির বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমার বেটা আর নাই। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমার আর কিছুই রইল না। আমার একটাই ছেলে। আগুনের খবর মেহেদি আমাদের জানাতে দেয়নি। পরে ওর বন্ধুরা জানালে আমরা তড়িঘড়ি ঢাকা চলে আসি। আমার বেটাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মেহেদীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে মেহেদীর অকাল মৃত্যুতে শোকের মাতম বয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকদের। অনেকে স্মৃতিচারণ করছেন ফেসবুকে।
জেকেএস/