প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০৩:৩৪ এএম
প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাইফুল সওদাগরের স্ত্রী মীম বেগমের প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে ওই প্রসূতি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, হাসপাতালে এ প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। সিজারিয়ান অপারেশন এটা অব্যাহত।
জানা গেছে, ১৯৮১ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয়। পরে হাসপাতালটি ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। বর্তমানে ২০২৩ সালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধন হলেও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় জনবল সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু ছিল না। গাইনি ডাক্তার থাকলেও অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ থাকে না। আবার অ্যানেস্থেসিয়া থাকলে গাইনি ডাক্তার থাকতো না। সমন্বয়ের অভাবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এতদিনে অপারেশন থিয়েটার অচল পড়েছিল। সম্প্রতি এ সংকট সমাধান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন থিয়েটারটি চালু করে।
স্থানীয়রা জানান, কোন প্রসূতি মায়ের সিজারের প্রয়োজন হলে আগে বিভাগীয় শহর বরিশালে যাওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় ছিল না। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে।
হাসপাতালে প্রথম অস্ত্রোপচারে জন্ম নেয়া শিশুটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম কারণ হাসপাতালে প্রথম সিজার এটি। সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই উপকৃত হয়েছি। অন্য কোথায়ও সিজার করলে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হতো। কিন্তু হাসপাতালে ফ্রি সেবা পেয়েছি। এমন কাজের পুরো কৃতিত্বই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়ের।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও নানা সরঞ্জামাদির অভাবে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। সংকট কাটিয়ে সেটি আমরা চালু করতে সক্ষম হয়েছি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। এ সফলতায় হাসপাতালের সব ডাক্তার ও নার্সরা সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেয়া হচ্ছে।
জেকেএস/