প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ০২:১২ এএম
ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারকে (৩৫) দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিদেশি পিস্তল হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে এক লিখিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরশের বাড়ি জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আপনার (পরশ) ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে; যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাই আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
জানা গেছে, পরশ শিকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা মৎস্যজীবী লীগ প্রথমে তাকে বহিষ্কারাদেশসহ কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও পরবর্তীতে তাকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব মো. ফরিদ মিয়া বলেন, প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও পরে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে সরাসরি বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। যেহেতু তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে তাই দলীয় নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। আর নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি আমরা।
এ ব্যাপারে পরশ শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো কোনো চিঠি পাইনি।
বৃহস্পতিবার পরশ শিকদারের দুটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল তাক করে আছেন। তার পেছনে তাকের ওপরে আরও কয়েকটি রাইফেল সাজিয়ে রাখা। তবে এসব ছবি পাঁচ বছর আগে রাজধানী ঢাকার পল্টন এলাকার একটি বন্দুক বিক্রেতার দোকান থেকে তোলা বলে পরশ জানান।
সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিল্লাল মৃধা ফেসবুকে দেশীয় অস্ত্রসহ ভিডিও পোস্ট করায় জেলা ছাত্রলীগ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ্রদেব ওরফে সুদেব কোমরে পিস্তল গোঁজা ছবি পোস্ট করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এছাড়া একই কায়দায় ফেসবুকে ছবি দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি। সর্বশেষ জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদার পিস্তল হাতে ছবি ফেসবুকে দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হলেন। এদের চারজনের বাড়িই বোয়ালমারীতে।
বিএস/