প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
কখনো রিকশাচালক, কখনো-বা বাসচালকের অভিনয় করে জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করল পুলিশ। প্রথম হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা না করতে পারলেও, দ্বিতীয় হতাকাণ্ডে মিলে যায় ক্লু। রাজধানীর ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনে দুই অটো রিকশাচালকের হত্যারহস্য তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পায়, যারা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে গিয়ে খুন করতেও পিছপা হয় না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে নির্জন এলাকায় যাওয়ার পর আসল পরিচয় প্রকাশ পায় যাত্রীর। প্রথমে তারা রিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে খুন করে।
রাজধানীর ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনে এই চক্রের হাতে ২ এপ্রিল দিবাগত রাতে হত্যার শিকার হন স্বপন নামে এক চালক। এর আগে ১৩ মার্চ একই জায়গায় খুন হন আরেক অটোরিকশা চালক।
২০ দিনের ব্যবধানে দুটি খুন। দুজনই রিকশাচালক। দুজনের গলায়ই গামছা প্যাঁচানো। নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া এই মানুষগুলোকে খুন করল কারা–তদন্তে নামে পুলিশ।
একপর্যায়ে দুটি ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। দুটি চক্রই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির সঙ্গে জড়িত। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ডেমরা এলাকার মালা মার্কেটে একটি রিকশার গ্যারেজের সন্ধান পায় পুলিশ। এই গ্যারেজটিতে পাওয়া যায় সেই অটোরিকশা, যেটি ছিনতাই করতে গিয়ে খুন করা হয়েছিল চালককে।
পুলিশ বলছে, রহস্য উদ্ঘাটনে দুটি নয়, তাদের কাজ করতে হয়েছিল চার থেকে পাঁচটি ছিনতাইকারী চক্র নিয়ে। দুর্ধষ এই চক্রটির হাতে আর কেউ খুনের শিকার হয়েছে কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ।
ডিএমপির ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, মোট পাঁচটি গ্রুপের সন্ধান পান তারা, এর মধ্যে তিনটি গ্রুপ ধরার পর চতুর্থ গ্রুপকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ঘটনার ক্লু মিলে যায়। বর্তমানে এমন চক্রের সন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এডিএস/