• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে হ’ত্যা করেন স্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ১২:৫৩ এএম

পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে হ’ত্যা করেন স্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের জাফলংয়ে একটি রিসোর্টের পাশ থেকে পাথরচাপা পর্যটক ইমরানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা উন্মোচন হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে তাকে হত্যা করেন স্ত্রী খুশনাহার (২১)। এ ঘটনায় ইমরানের স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্টের পাশে ইমরানের মরদেহ পাথরচাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোয়াইনঘাট থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা পৃথক দুটি টিমের অভিযানে নাদিম আহমেদ নাঈম (১৯) নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং নিহতের স্ত্রী খুশনাহারকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিক মাহিদুল হাসান মাহিন ও তাদের সহযোগী রাকিব পলাতক।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আটককারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সঙ্গে মাহিদুল হাসান মাহিনের দীর্ঘ আড়াই বছরের পরকীয়া চলছে। মাহিন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জিএম পদে কর্মরত। ইমরানের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে খুশনাহারের বিয়ে হয়। পরকীয়ার পর থেকেই খুশনাহার এবং তার প্রেমিক মাহিন বিভিন্ন সময় ইমরানকে হত্যার চেষ্টা করে আসছিলেন। খুশনাহার বেড়ানোর কথা বলে স্বামীকে নিয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে ভৈরব থেকে সিলেট যান। একই দিন মাহিন ও মাহিনের অফিসে কর্মরত নাদিম ও রাকিব কমলাপুর থেকে সিলেট যান। গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে জাফলং বল্লাঘাটস্থ রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেলের ১০১ নম্বর কক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন ইমরান। মাহিনসহ ওই তিনজন জাফলং বল্লাঘাটের হোটেল শাহ আমিনে অবস্থান করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মাথা ব্যথার ওষুধের কথা বলে রাত ১০টার দিকে ইমরানকে তার স্ত্রী খুশনাহার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। এরপর খুশনাহার রাত ১২টার দিকে তার প্রেমিক মাহিন ও সহযোগীদের হোটেলকক্ষে ডেকে আনেন। রাত ২টার দিকে ইমরানের গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুশনাহার ও মাহিন শ্বাসরোধে হত্যা করেন। রাত ৩টার দিকে ইমরানের মরদেহ হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখেন। রাত সাড়ে ৪টার দিকে তারা হোটেল থেকে পালিয়ে যান।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ