প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০১:৫৪ এএম
মেহেরপুরে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরম। যার ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালে বেড়েছে তিন গুণ রোগীর সংখ্যা। প্রচণ্ড গরমের ফলে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, প্রস্রাবের ইনফেকশন ও হিট স্ট্রোকসহ গরম জনিত নানান রোগ বালাই।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ১০০ থেকে দেড় শতাধিক অতিরিক্ত রোগী। যার ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের। বেশি কষ্টে রয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশু শ্রেণির মানুষ।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টাতেও ডাক্তারের দেখা মেলেনি। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে আমার শিশু রোগীকে বাইরে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি। দিনে অতিরিক্ত গরম এবং রাতে বেশ ঠাণ্ডা থাকার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত শয্যায় সিট না পেয়ে মেজেতে এবং সিঁড়িতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের রোগী এবং নতুন ভর্তি হওয়া রোগী মিলে শুধুমাত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ডেই ২০টি বেড সংখ্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪০ জন। যা কাঙ্ক্ষিত শয্যা সংখ্যার তিন থেকে চার গুণ বেশি। গত দুই সপ্তাহে শুধুমাত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ডেই সর্বমোট চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় এক হাজার রোগী।
এদিকে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সেঁজুতি বললেন, গরমের রোগ-ব্যাধির হাত থেকে বাঁচতে নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পাশাপাশি বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ। বহির্বিভাগে প্রতিদিন অতিরিক্ত শতাধিক রোগী গরম জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এডিএস/