প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১২:১৯ এএম
তীব্র তাপপ্রবাহ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সূর্যের প্রখরতা সড়কে আগুনের মতো উষ্ণতা দিচ্ছে। ভোরে সূর্য ওঠা থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। বেলা যত বাড়তে থাকে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তত কমতে থাকে। গরমের কাছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ এখন অসহায়। এ যেন তাদের কাছে ‘অগ্নিপরীক্ষা’।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিলুর রহমান বলেন, ‘তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বাতাসের আর্দ্রতা বাড়ছে। আর্দ্রতা বাড়ার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৭৪ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপদাহ চলমান থাকবে।’
চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন জানান, সামনে ঈদ। গরমের কারণে কাজ অনেক কম। দিনের বেশিরভাগ সময় অলস বসে থাকতে হয়। সন্ধ্যার পর একটু কাজ হচ্ছে। মানুষ বাইরে না আসলে কাজ হয় না।
চুয়াডাঙ্গা কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মুকুল বলেন, গরমে কোথাও শান্তি নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি ফিরবে না জনজীবনে। আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করতে না পারায় গরমের সময় অতিরিক্ত গরম আর শীতের সময় শীত বেশি। শীত আর গরমে বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে।
লোকনাথপুর গ্রামের ভ্যানচালক হাবিব বলেন, একদিকে গরমে কষ্ট অন্যদিকে কাজ না থাকায় জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। গরম সহ্য করার মতো অবস্থা আর নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, তাপদাহ চলমান থাকায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়ছে। শিশুরা বেশি গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুদের ঠান্ডা ও ছায়া যুক্ত স্থানে রাখতে হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে ২য় দিনের মতো ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ নামাজে অংশগ্রহণ করে। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এডিএস/