প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পাস বন্ধ করে দিয়েছে বন বিভাগ। যে সমস্ত কাঁকড়া আহরণ কারিরা ২৫ ডিসেম্বর পাস নিয়েছে তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাঁকড়া আহরণ করতে পারবে। পহেলা জানয়ারি হতে ২৯ ফেব্রুয়ারি পযন্ত ২ মাস সুন্দর বনে কাঁকড়া আহারণ বন্ধ থাকবে।
কাঁকড়া প্রজনন মৌসুমী হিসেবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে বলবত থাকবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নরুল করিম। তিনি আরো জানিয়েছেন জানুয়ার-ফেব্রুয়ারি এই ২ মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহারণ বন্ধ সহ উপকূলীয় এলাকায় কাঁকড়া কেনা বেঁচা পরিবহনে সরবরাহ করা মজুদ রাখা সম্পন্ন নিষেধ। সরকারের জারি করা আইনের বাইরে কেউ অপরাধ করিলে তার বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নুরুল করিম আরো জানান, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি কাঁকড়া আহরণ বহন, বেচাকেনা ও মজুদ বন্ধ কার্যকর করার জন্য বন বিভাগের স্বাভাবিক পাহারার পাশাপাশি স্মার্ট টিম দিয়ে সুন্দরবনে কড়া নজরদারি রাখা হবে। বন বিভাগের সাথে নৌ পুলিশ, কোচগার্ড, নৌবাহিনী ও নজরদারিতে থাকবে।
সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান জানান, পহেলা জানুয়ারির আগেই বাজারে ঢেড়া পিটিয়ে সকলের অবগতির জন্য জানানো হবে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি ২ মাস সকল প্রকার কাঁকড়া কেনা বেঁচার দোকান ও সকল ছোট বড় কাঁকড়ার ফার্ম বন্ধ রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই দুই মাস রাস্তায় ও আমাদের নজরদারি থাকবে যাতে কেউ কাকড়া বহন করতে না পারে। সুন্দরবনেও ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে প্রতিটি নদী খালে ভিডিও করা হবে নজরদারির বাহিরে থাকবে না বনরক্ষীরাও কোন বনরক্ষী এই আইনের বাইরে চালার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা। মশিউর রহমান আরো জানান, রাস্তায় আমাদের সিপিজি সদস্যরা সার্বক্ষণিক পাহারাই থাকবেন যদি কোন সদস্য এই অপরাধের সাথে জড়িয়ে থাকে প্রমাণ পেলে তাকে সাসপেন্ড সহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় বন মামলা দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোলাইমান হোসেন বলেন, আমার এলাকা দিয়ে কোন প্রকার কাঁকড়া আহারণ কাঁকড়া মজুদ, কেনাবেচা বন্ধের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সরকারের আইনের বাইরে কেহ চলার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল যাদের কাঁকড়া পাস দেওয়া হয়েছে তাদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাস সমাপন করার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।