প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে নগর। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোর কাছে শহর যেন ফুটন্ত কড়াই। শুধু মানুষ নয় হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণ প্রকৃতিরও। এই অবস্থায় বৃষ্টির প্রার্থনায় রাজধানীতে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে উঠে এলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির আভাস।
প্রতিদিন নতুন দিনের বার্তা নিয়ে সূর্য উঠে ঠিকই কিন্তু সূর্যের এ আগমন মানুষকে আর আন্দোলিত করে না। বরং করে তোলে আতঙ্কিত। কেননা সকাল থেকেই শুরু হয় রোদের প্রখরতা। যা চলতে থাকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত। এমনকি সূর্য ডুবে গেলেও রেখে যায় ভয়ঙ্কর তাপদাহ। যার উষ্ণতা হারাম করে দেয় রাতের ঘুম।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, পুরো ঘর থেকে যেন আগুনের তাপ বের হয়। মেঝে গরম; বিছানাও গরম। এক অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। একটু বৃষ্টি হলে খুবই ভালো লাগত।
গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহে পুরো নগরী যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড অগ্নিগোলকে। যার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষেরা। তবে চলমান এই উত্তাপে সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছেন শ্রমজীবীরা।
তারা বলছেন, গরমে মনে হয় যে শরীরের সব পানি বের হয়ে যায়। কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। যদিও একটু বৃষ্টি হতো, তবে স্বস্তি মিলত।
অসহনীয় গরমে শুধু মানুষই নয়, বেকায়দায় সমগ্র প্রাণীকূল; জীব বৈচিত্র্য। সেই সঙ্গে তীব্র গরমে শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থায় গাছের সবুজ পাতা। তবে ঈদের আগে আবহাওয়ার এই প্রতিকূল অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষকে ভাবাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। কাজ না থাকায় ঈদ করা নিয়ে সংকটে তারা। সবারই প্রত্যাশা এক পশলা বৃষ্টির।
এডিএস/