প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৩:৩৬ এএম
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় শাহাদাত হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা নিহতের মাথা, হাত, পা, বুক, পিঠ, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে রক্তাক্ত করে। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে পানির পিপাসায় শাহাদাত হোসেন আর্তচিৎকার করলেও তাকে পানি দেওয়া হয়নি। এভাবেই একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শাহদাত হোসেন। পরে তার মরদেহটি পার্শ্ববর্তী তিন রাস্তার পাশে খালি ভিটায় ফেলে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের মাহুতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বক্স আলী জমাদার বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
নিহতের সৎবোন শাহিন আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা আমার ভাইকে চোর বলে নির্যাতন করেছে। আমার ভাই চোর হলেও দেশে আইন আছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবেশী কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে আইন আছে, পুলিশ আছে। অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। এভাবে পরিকল্পিতভাবে হত্যা আমরা মানতে পারছি না। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় দোকানদার দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মর্মান্তিক অবস্থা। তাকে এভাবে মেরে ফেলা কোনো আইন সমর্থন করে না। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামিম আলম বলেন, হত্যার ভিডিও আমি দেখিনি। অনেকেই নাকি ফেসবুকে পেয়েছে। আমি তাকে এর আগেও চোরের ঘটনায় থানায় সোপর্দ করেছি। তবে দেশের আইন অনুযায়ী সব কিছু চলবে। কেউ যদি হত্যায় জড়িত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পরপর আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিএস/